আমার ভোরদেখা


ভোর দেখার অভ্যেস আমার বহু পুরনো, সেটা স্কুল বা কোচিং এ যাওয়ার জন্য হোক অথবা দৈনন্দিন প্রার্থনার জন্যই  হোক। তবে একটা সময় আব্বুর উপর ভীষণ বিরক্ত হতাম যে কেন ভোরেই উঠতে হবে। তাঁর ভাষায় ভোরে ওঠার বিস্তর উপকারিতা রয়েছে। আসলে,ভোরের ঘুমটা যে খুব আরামদায়ক, আড়মোড়া ভেঙে যে উঠতে ইচ্ছে  হয়না,আর যদি হয় শীতকাল তবে তো কথাই নেই। 

সত্যি করে বলতে গেলে ভোর ব্যাপারটা আসলেই বেশ ইন্টারেস্টিং, যদি একবার কষ্ট করে উঠতে পারেন তবে একবারের জন্যও মনে হবেনা যে আপনি লস করেছেন।সারাদিনের সমস্ত ক্লান্তিকে রাতের গহ্বরে ছেড়ে দিয়ে সকাল বা ভোর যেন ফিরে আসে দ্বিগুণ শক্তির যোগান নিয়ে। রাতে আপনি যত দুশ্চিন্তা, মনোমালিন্য, মন খারাপ নিয়ে ঘুমাতে যান না কেন ভোর যেন বরাবরই নবজাতকের ন্যায় পরিশুদ্ধতা,শুভ্রতা ও পবিত্রতার জানান দেয়। 

বৈষয়িক ঝামেলা, ব্যস্ততার চাপে যখন মন বিষন্ন হয়, সেই মূহুর্তে এক টুকরো ভোর দেখার অনুভূতিটাই যেন প্রচন্ড সাহস আর শক্তি সঞ্চার করে কাজের স্পৃহা বাড়িয়ে দেয়। দেখার ফাঁকে আকাশের পানে তাকিয়ে দুয়ার সাথে নিজেকে ক্ষুদ্র ভাবতেও যেন খারাপ অনুভূত হয়না।

Comments

Post a Comment